Phila Portia Ndwandwe (b.1964-d.1988, also known as Zandile or Zandi) was a fighter of the Natal cadre of Umkhonto we Sizwe (MK) formed by Muzi Ngwenya (Thami Zulu or “TZ”) operating from Swaziland. MK was the armed wing (Spear of the Nation) of the African National Congress, created by Nelson Mandela in 1961. Zandi was a breastfeeding mother when she was abducted by Apartheid forces and tortured for 10 days to convert her into becoming an informer for the South African government. She was shot in the head after being made to kneel in front of her captors https://en.wikipedia.org/wiki/Phila_Portia_Ndwandwe
Phila Portia Ndwandwe
Phila Portia Ndwandwe (also known as Zandile or Zandi) became part of the Natal Machinery of uMkhonto weSizwe (MK) in 1985 under the leadership of Muzi Ngwenya (Thami Zulu or “TZ”) operating from Swaziland. She was in the unit headed by Ayanda Dlodlo that was responsible for the infiltration of African National Congress (ANC) cadres into Natal. In October 1988, she was abducted by two former MK militants turned informants who requested a meeting with Ndwandwe at the George Hotel in Mazini, Swaziland. Unaware they had become police informers, she attended the meeting with them.The informants entered Swaziland illegally through false documents which was all part of an elaborate plan by the Port Natal Security Branch to abduct Ndwandwe and turn her into an informant as well. The police monitored their meeting and captured her after the two informers turned her over to them.
Antjie Krog gave the keynote address at the Goethe-Institut’s Über(W) under Art in Troubled Times conference. This is an extract.
The first artwork [I want to discuss] is by an artist responding to a traumatic revelation at the Truth and Reconciliation Commission; the second, a sculpture by an artist dealing with her own personal trauma.
The truth commissioner spreads the photos on the table. He is reporting on the digging up of the grave of ANC commander Phila Ndwandwe.
The Breast Tax (Mulakkaram or mula-karam in Malayalam) was a tax imposed on the lower caste and untouchable Hindu women by the Kingdom of Tranvancore (in present-day Kerala state of India) if they wanted to cover their breasts in public, until 1924. The lower caste and untouchable women were expected to pay the government a tax on their breasts, as soon as they started developing breasts. The lower caste men had to pay a similar tax, called tala-karam, on their heads.[6] Travancore tax collectors would visit every house to collect breast tax from any lower caste women who passed the age of puberty. The tax was evaluated by the tax collectors depending on the size of their breasts. https://en.wikipedia.org/wiki/Breast_Tax?
Nangeli: Woman Who Rebelled For Dignified Existence
It is no secret that women belonging to marginalized communities and scheduled caste were subjected to heinous discrimination until there was a collective reckoning post-independence.
During the 19th century, women from oppressed caste had to pay 'Mula Karam' or breast tax for covering their breasts and the amount was determined by the size of their breasts.
Mainly the Nadar and Ezhava communities were not allowed to cover their chests in front of the privileged caste men. This is because clothes were regarded as a sign of ‘wealth’ and prosperity. Covering the chest was considered as an ‘immodest’ move by the oppressed caste before the rich and royalty. The members of the oppressed caste were burdened with many forms of taxes during this period. Brahmin and Nair communities thrived at the cost of the marginalized people. As per the records, despite the privilege, even Nair women were expected to be "modest" and not cover their chest in front of the Brahmin men. https://www.beyondpinkworld.com/
It has been eight years since my father departed from this world on 3rd May 2012. Gurucharan Murmu, who entered the hallowed IPS (Indian Police Service) in 1972, is the first ever Santal to serve the Union Civil Services. Being his daughter and having to see him suffer all his life for his integrity and for upholding an incorruptible moral universe has been an agonizing experience. While it was personal pain earlier, it is more of anger towards gross violation of social justice that triggers me these days. The persistence of the skilfully devised myth that the thirty four years of left front rule in West Bengal has somehow abolished caste based discrimination is due to the pervasive dominance of the forward caste Bengali bhadralok over political, social, economic and cultural domains and academic discourses. Dismissal, oppression, deprivation, injustice, contempt and most importantly stigma and trauma of humiliation and harassment, “violation of dignity and human rights on account of caste disparity remain brutal everyday realities for adivasis in this state. https://www.raiot.in/many-lives-of-a-santal-ips-officer-in-bhadralok-bengal/?
The activists were pressed with the charges of provoking the workers to act against their employers, leave the city and the complaint was filed by the builders.
(মার্চ, ২০০০৪-এ রচিত ও ইতিপূর্বে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত। বর্তমান লেখাটিতে কিছু নতুন তথ্য সংযোজন হয়েছে যা সর্বশেষ (২০১৫) সংগৃহীত।)
‘‘আমরা তো জানি স্বরাজ আনিতে পোড়া বার্তাকু এনেছি খাস,/কত শত কোটি ক্ষুধিত শিশুর ক্ষুধা নিঙাড়িয়া কাড়িয়া গ্রাস,/এল কোটি টাকা এল না স্বরাজ/টাকা দিতে না রে ভুখারী সমাজ/মার বুক হতে ছেলে কেড়ে খায় মোরা বলি বাঘ খাও হে ঘাস।”
মধ্য বিহারের এক অজ গ্রাম- নাম তার ‘শব্দ’। বিগত কয়েক বছরে এ গ্রামেই ঘটে গেছে নিঃশব্দে এক বিপ্লব। গোটা দেশের মধ্যে আজ এটিই একমাত্র গ্রাম যেখানে চলে সমষ্টিগত চাষ। সারা বছরে সেচের জল পায় চাষিরা। পরিবেশ সচেতন এই গ্রামে দূষণ নেই। সব শিশু স্কুলে যায়। নেই জাতপাতের লড়াই। এই গ্রামে মদ খায় না কেউ। ভাবা যায়! এবং সর্বোপরি এই গ্রামের মানুষ নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে, সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে স্থানীয় ভিত্তিতে প্রাকৃতিক আর মানব সম্পদকে সুচারুভাবে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি করেছে উন্নয়নের এক নয়া নজির।
শব্দগাঁওয়ের দুই রূপকার মহেশ ও সরিতা।
কয়েক মাস আগে এক সংবাদপত্রে (আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৫ ও ২৬ অক্টোবর, ২০০৩) এই গ্রামের মানুষের জেগে ওঠার কাহিনী প্রথম প্রকাশিত হয়। তার আগে এই গ্রামের মানুষের কথা আমাদের গোচরে আসেনি। সম্প্রতি শব্দগাঁওয়ের দুই রূপকার খুন হওয়ার পর দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জানা যায় আরও অনেক অজানা তথ্য।
অন্ধকারে আলোর দিশা
গয়া জেলার ফতেপুর ব্লকের অন্তর্গত এই শব্দগাঁও বছর চারেক আগেও ছিল বিহারের আর পাঁচটা গ্রামের মতই। সামন্ত ব্যবস্থা আইনত অবলুপ্ত হলেও এ অঞ্চলে সামন্তশোষণ আর মাফিয়াদের দাপট সকলেরই জানা। শব্দগাঁওয়ের বৈশিষ্ট্য হল এই গ্রামে কেবল যাদব সম্প্রদায়ের মানুষেরই বাস আর কোন পরিবারই ভূমিহীন নয়, পারিবারিক জমির মালিকানা ২ বিঘা থেকে ১২-১৩ বিঘার মত। আর বিহারে জাতের বিচারে তারা নিম্নবর্গের বলেই বিবেচিত হয়।ততা তততারা নানা বৈষম্যের শিকার হলেও তারা তাদের মধ্যে কোনো ঐক্য ছিল না। বরং তাদের নিজেদের মধ্যেই সর্বদা লেগে থাকত বিবাদ – কখনো জমির আল নিয়ে, কখনো আলের উপর ঘাস কাটা নিয়ে। রুখাসুখা পরিবেশ। এক ফসলি জমি, সেচের জলের বড় অভাব। জলের অভাবে মার খেত চাষবাস। তাই আল কেটে জল চুরি নিয়েও লেগে থাকত নিজেদের মধ্যে হানাহানি। সন্ধ্যা হলেই গ্রামের বেশির ভাগ পুরুষ মদে চুর হত। এ গ্রামের বাচ্চারা কেউ স্কুলে যেত না। আর সব বাড়িতেই ছিল খাটাল। ফলে পরিবেশ হত দূষিত আর ছড়াত রোগ।
বছর চারেক আগে গ্র্রামের মানুষের জন্য কিছু একটা করার তাগিদে এ গ্রামের প্রান্তে ডেরা বাঁধেন দুই যুবক-যুবতি, মহেশকান্ত ও সরিতা। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিদ্যার এম.এ. সরিতা প্রথম জীবনে ছিলেন নকশাল আন্দোলনে – সি.পি.আই(এম-এল)দলের কর্মী। তার বাবা ও মা-ও এই দলের সাথে যুক্ত ছিলেন। বাবা রামদাস যাদব জরুরি অবস্থার সময় ১৯৭৬ সালে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যান। ছিলেন ভাগলপুর জেলে। জেল ভেঙে পালাবার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যান তিনি। সরিতা অবশ্য নকশাল আন্দোলন সম্পর্কে এক সময় হতাশ হয়ে পড়েন। তবে ঘরে বসে রান্নাবান্না ও সন্তান পালন করে জীবন কাটাতে চাননি তিনি। পরিচয় হয় মহেশের সাথে। হরিয়ানার এক সম্পন্ন জাঠ পরিবারের ছেলে মহেশ পাটনায় ব্যবসা করতে এসে জড়িয়ে পড়েছিলেন সমাজসেবায়। এয়ারক্রাফ্ট মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিলেন দিল্লি থেকে। পেশায় ছিলেন নির্মাণ ব্যবসায়ী। মহেশ ও সরিতার উদ্যোগে গড়া হয় একটা প্রতিষ্ঠান – ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ এ্যান্ড এ্যাকশন (ইরা)। উদ্দেশ্য সমাজসেবা। প্রাথমিক ভাবে সরকার বা কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে তারা অর্থের জন্য হাত পাতেন নি। মহেশের ব্যবসার লাভের টাকাই ছিল তাদের সম্বল। গত চার বছরের প্রচেষ্টায় এরাই আমূল বদলে দিয়েছেন শব্দগাঁও সহ আশেপাশের আরও অনেক গ্রামের মানুষের জীবনধারা।
গ্রামের মানুষের জন্য তারা কাজ করতে চাইলেও গ্রামের মানুষের সাথে সম্পর্ক করাটা খুব সহজ হয়নি। গ্রামের মানুষ তাদের এড়িয়েই চলত—কেউ ভাবত ছেলেধরা, কেউ ভাবত জঙ্গি বা পুলিশের চর। শোনা যায় নকশাল জঙ্গিরা তাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে চাপ দিত। আশপাশের বৃহৎ ভূস্বামীরা তাদের প্রাণে মারার হুমকি দিত। মহেশ ও সরিতা কিন্তু দমে যায় নি, নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল ছিল তারা। গ্রামের বড়রা তাদের এড়িয়ে চললেও নিষ্পাপ কয়েকটি শিশুর সাথে তাদের ভাব হয়ে যায় একদিন। এরপর সরিতারা তাদের পড়াতে শুরু করে। এইসব শিশুরাই গ্রামে ফিরে গিয়ে বাবা-মাকে সরিতাদের কথা বলতে থাকে। আস্তে আস্তে গ্রামের মানুষের ভয় কাটে। কয়েক মাস পরে, বাবা-মায়েরাও আসতে শুরু করেন মহেশ-সরিতাদের ডেরায়। গ্রামের মানুষের সমস্যা ও উন্নয়ন নিয়ে শুরু হয় কথাবার্তা। এভাবেই জন্ম নেয় জীবনটাকে বদলে দেওয়ার এক নয়া অধ্যায়।
এরপর সরিতারা গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে সভা করতে লাগলেন। বুঝলেন জলের সমস্যাই এলাকার সবথেকে বড় সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে মিলল সাড়ে তেরশো বছরের পুরানো বর্তমানে মজে যাওয়া এক সেচ ব্যবস্থার। বিশেষজ্ঞদের ডেকে এনে পরামর্শ নিলেন সরিতারা। তারপর শুরু হল কাজ। মহেশ-সরিতার নেতৃত্বে গাঁইতি কোদাল হাতে নেমে পড়ল গ্রামের মানুষ। আশপাশের গ্রামের মানুষও এ কাজে হাত লাগাল। কাটা হল পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার লম্বা খাল। সংস্কার করা হল ১৭০টি মজা বিল। পাহাড় থেকে নেমে এসে বর্ষার জল জমা হয় এইসব বিলে। তা দিয়েই এখন চাষের কাজ চলে এলাকার তিনটি ব্লকের ১২০টি গ্রামে।
আল ভাঙো, ভাঙো আল
উৎপাদন বাড়াতে হবে এবার, তাই ভাঙতে হবে জমির আল। সরিতারা জানতো কাজটা কঠিন। আলের সাথে গ্রামের মানুষের প্রাণের সম্পর্ক। বিষয়টি বড়ই স্পর্শকাতর। জল পেয়ে গ্রামের মানুষ খুশী। তাই বলে আল ভাঙা, সে তো যেন হৃৎপিন্ডটাকেই উপড়ে ফেলা। সরিতাদের কথা প্রথমে কেউ মানতে চাইল না। লাভালাভের কথা ধৈর্য্য ধরে অনেক বোঝানোর পর অবশ্য তারা রাজি হল। কেটে ফেলা হল সব জমির আল। তৈরী হল টুকরো টুকরো জমি জুড়ে ১৭৫ একরের এক বিশাল কৃষিক্ষেত্র। শুরু হল সমষ্টি প্রথায় চাষ—কমিউনিটি ফার্মিং (Community Farming)। ফলে বেড়ে গেল ২৫ শতাংশ উৎপাদন। আর বন্ধ হয়ে গেল আল নিয়ে নিত্য লেগে থাকা কাজিয়া। আল কেটে জল চুরি নিয়ে প্রায়ই লেগে থাকত মারামারি। বন্ধ হয়ে গেল তাও। জমির আনুপাতিক হিসেবে সব কৃষক চাষের কাজে ভাগ নেন। ফসলও পান সেই অনুপাতে। শব্দগাঁওকে দেখে এখন পার্শ্ববর্তী অন্যান্য গ্রামের কৃষকরাও জমির আল ভাঙার কথা ভাবছে।
শুধু আল ভাঙাই নয়, শব্দগাঁওয়ের কৃষিজীবীদের জন্য চালু হয়েছে ইউনিফর্ম—সেনাবাহিনীর ওভার অল-এর মত। গাঢ় নীল রঙের সেই উর্দি পরেই কৃষকেরা মাঠে নামেন। কৃষিক্ষেত্র আজ তাদের কাছে রণক্ষেত্রে রূপান্তররিত হয়েছে। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার আসল লড়াই তো এখানেই। গ্রামের দুই যুবক সেনাবাহিনীর কাছে শিখে নিয়েছে এই পোশাক তৈরীর কাজ।
এ কি স্বপ্ন?
আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন চেতনা জেগে ওঠে গ্রামের মানুষের মধ্যে। মদ খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আগে যারা সন্ধ্যায় মদ খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকত তারা যায় গ্রাম কমিটির সভায় গ্রামের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনায় যোগ দিতে। পাঁচ হাজার মহিলা বন্ধ্যাকরণের সিদ্ধান্ত নেয়, যদিও শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি সরকার ডাক্তার না পাঠাতে পারায়। তৈরী হয় মোরাম বিছানো সুন্দর রাস্তা। তৈরি হয়েছে স্কুল। এ গ্রামের সব শিশু এখন স্কুলে যায় একই ধরনের পোশাক পরে। আগে গ্রামে শৌচাগার বলে কিছুই ছিল না। গ্রাম কমিটির ব্যবস্থাপনায় সব বাড়ীতেই তৈরি হয় পাকা শৌচাগার। বাড়ির মহিলারাই এতে সব থেকে বেশি উপকৃত হন এতে কোন সন্দেহ নেই। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই ছিল খাটাল। এর ফলে দূষণ ও রোগ ছড়াত। তৈরি হয় ‘পশুধন ভবন’। বাড়ি থেকে খাটাল সরিয়ে ফেল সারা গ্রামের গবাদি পশু একসাথে সেখানেই রাখার ব্যবস্থা হয়। বলা বাহুল্য এ সবের পেছনেই ছিল মহেশ-সরিতার সক্রিয় ভূমিকা। তাদের হাত ধরেই শব্দগাঁও-এর মানুষ স্বপ্ন ছুঁয়েছে।
মহেশ-সরিতারা এখানকার মানুষের অর্থনৈতিক চালচিত্রটাই শুধু বদলে দেয়নি, বদলে দিয়েছে গ্রামের মানুষের মানসিকতাও। গ্রামের উন্নয়নের জন্য তারা নিজেদের উপর ভরসা করতে শিখেছে। শিখেছে মানব সম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার। জাতপাতের কুরুক্ষেত্র জাঠ হয়েও মহেশ হয়ে উঠেছে যাদবদের ‘ভাইয়া’। মধ্য বিহারের কোন পুরুষ কোন মহিলাকে ‘প্রণাম’ জানায় না। ব্যতিক্রম ঘটেছে সরিতা ‘বহিন’-এর ক্ষেত্রে। বৃদ্ধরাও পথে দেখা হলে তাকে কড়জোড়ে প্রণাম জানিয়েছেন।
সন্ধ্যায় নিভল দীপ
আল ভেঙে যৌথ খামার গড়ার সময়ই মহেশ-সরিতার নজরে এসেছিল প্রতিবেশী রাজাবিঘা গ্রামের একটি দলিত সম্প্রদায়। রাজাবিঘার জনা তিরিশেক ‘মুশহর’ (অন্ত্যজ দলিত) সম্প্রদায়কে নিয়ে আড়াই একর জমি দিয়েছিল রজ্য সরকার। কিন্তু নিরক্ষর মুশহরদের বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ১৯৯২ সালে ওই জমি কব্জা করে নেয় স্থানীয় এক কুখ্যাত মাফিয়া। সরিতারা মুশহরদের একজোট করে জমি উদ্ধারে নামে। এই লড়াইয়ে জয় হয় মুশহরদেরই। প্রশাসন ও পুলিশ এনে জমি শেষ পর্যন্ত মাফিয়াদের কাছ থেকে উদ্ধার করে মুশহরদের হাতে তুলে দিতে পেরেছিলেন দুই লড়াকু যুবক-যুবতী। মাফিয়ারা হুমকি দিয়েছিল প্রাণে মেরে ফেলার।
গত ২৪ জানুয়ারী, ২০০৪ সন্ধ্যায় শব্দগাঁও থেকে ফতেপুরে ফেরার পথে দু’জনকেই গুলি করে হত্যা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হত্যাস্থলের কাছের রাজাবিঘা ও জামহাটা গ্র্রামের কেউ গুলির শব্দ শুনেও ঘটনাস্থলে আসেনি। শব্দগাঁও-এর মানুষ ছুটে এসেছিল, রাত ১টা পর্যন্ত ছিল, যতক্ষণ না পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে যায়। ওইদিন মহেশ-সরিতা গ্রামে প্রজাতন্ত্র দিবসের আয়োজন নিয়ে গ্রামের মানুষের সাথে সান্ধ্য-বৈঠক করে। তারপর রাতের খাওয়া সেরে মহেশের মটরবাইকে দু’জনে ফতেপুরে যাবার জন্য গ্রাম ছাড়ে।
গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে গ্রামের মানুষের সাথে মহেশ ও সরিতা।
প্রিয়জনকে হারানোর ব্যাথায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সংবাদপত্রের রির্পোট পড়ে দেশ-বিদেশের বহু মানুষ শব্দগাঁও-এ হাজির হন মহেশ-সরিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে। অনেক অনুরোধেও যিনি কোন দিন এই গ্রামে পা রাখেন নি এমমনকি সেই ‘গরিবোঁ কি মসিহা’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদও ছুটে আসেন। হত্যার প্রতিবাদে বিরোধীদের ডাকে একদিন বন্ধও পালিত হয়। ২৫ জানুয়ারী, দু’জনের শবদেহ রাজ্যের রাজধানী পাটনায় শ্মশানে দাহ করা হয়। পাটনাতেই সরিতার স্বামী পুষ্পেন্দু কুমার সিং ও সন্তানেরা থাকত। মহেশের ভাই মনিকান্তও পাটনাতেই থাকত।
শোনা যায় হত্যার পেছনে মদ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদেরও মদত ছিল। যদিও ফতেপুর থানার এফআইআর-এ অভিযুক্ত হিসেবে রাজাবিঘা গ্রামের দু’জনের নাম ওঠে যারা সম্পর্কে ভাই-বুধন যাদব ও সাধু যাদব। ঘটনার পর দু’জনেই বেপাত্তা হয়ে যায়। রাজাবিঘা গ্রামের এই যাদব পরিবারের সাথে শব্দগাঁও-এর কিছু গোলমাল ছিল। এই হত্যার সাথে লালু প্রসাদের দল আরজেডি-র ফতেপুরের বিধায়কের নামও লোকের মুখে এমন ভাবে ঘুরতে থাকে যে তাকে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তা বিরোধীদের প্রচার বলে ঘোষণা করতে হয়।
২৭ জানুয়ারী, লালু প্রসাদ এলাকায় গিয়ে সিবিআই তদন্তের কথা ঘোষণা করেন। আর ৫ই ফেফ্রুয়ারী গয়ার সিবিআই ডিরেক্টর জানিয়ে দেন তাদের হাতে এত কাজ রয়েছে যে তারা এখন এই দায়িত্ব নিতে পারছে না। সবটাই যে লোকদেখানো তা বুঝতে অসুবিধা হয়না। প্রসঙ্গত, সত্যেন্দ্র দুবের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই পাঠকের। এই গয়া জেলারই ন্যাশানাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রোজেক্ট ম্যানেজার থাকাকালীন দূর্নীতি নজরে এলে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীকে চিঠি দিয়ে জানান। আর তার পরেই বিহারের গরিব ঘর থেকে উঠে আসা এই প্রতিভাবান সৎ ইঞ্জিনীয়ার খুন হয়ে যান। তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। কিন্তু যে দু’জনকে সিবিআই জিজ্ঞাষাবাদ করেছিল তারা আত্মহত্যা করে। এই প্রতিবেদকের জানা নেই মহেশ-সরিতদের ক্ষেত্রে শেষপর্যন্ত কী ঘটেছিল।
‘Down To Earth’-এর এক অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে-Hem Chand Sirohi, the media-savvy Commissioner of Magadh division (which includes Gaya) worked closely with Sarita and Maheshkant. Although Sirohi is one of the few persons who can throw light on the matter, he is incommunicado. Down To Earth’s efforts to contact him also proved futile. He has reportedly proceeded on a long leave. The day Laloo Prasad Yadav visited the area, Sirohi was seen telling local people not to talk to the media about the murders and mention only the good work the two had done. “How can you separate development efforts from politics?” asks an activist who was present.
এই হৈ-চৈ হয়ত একদিন থেমে যাবে। মহেশ-সরিতার স্মৃতি মুছে দেওয়ার চেষ্টাও চলবে। কিন্তু শব্দগাঁও আর তার লগোয়া গ্রামগুলির মানুষ কি ভুলতে পারবেন এই দুই আলোর দিশারী যুবক-যুবতীকে?
সাতচল্লিশে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর পঞ্চাশ বছরেরেও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। আজও এদেশে পঞ্চাশ ভাগ মানুষের অক্ষর জ্ঞান নেই। ছাব্বিশ শতাংশ মানুষের বাস দারিদ্র্য সীমার নীচে। উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিসেবার অভাবে প্রতিবছর তিন লক্ষ মহিলা সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ই মারা যায়। প্রতি বছর পনের লক্ষ কন্যাশিশু মারা যায় বা তাদের মেরে ফেলা হয়। এক বছর পরোনোর আগেই আট লক্ষের জীবনকাল পাঁচ বছর পেরোয় না। যে দেশে স্বধীনতার এমন চমৎকার স্বাদ সে দেশে মহেশ-সরিতার মৃত্যু নেই। ওরা ফিরে আসবে অচিরেই।
কিন্তু মহেশ-সরিতাদের পাটনা থেকে গয়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকা শব্দগাঁওয়ে পৌঁছানোর পেছনের ইতিহাসটা কী? ১৯৭০-’৮০-র দশকে গয়া জেলায় বড়সড় কৃষক আন্দোলন হয়েছিল এবং বোধ গয়ার প্রভাবশালী বৌদ্ধ পূজারীদের থেকে জমি দখল করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিলি হয়েছিল। এই আন্দোলনে সরিতার কয়েকজন বন্ধু যুক্ত ছিল এবং সরিতা একসময় জমি দখল আন্দোলনের ফলে যারা উপকৃত হয়েছে তাদের অবস্থা পর্যালোচনা করতে এসেছিল। এই যোগসূত্র ধরেই মহেশ-সরিতারা ফতেপুরে আসে যখন তারা নিজেরাই কিছু করার কথা ভেবেছিল। এখানে তাদের সঙ্গী হিসেবে জুটে যায় দুই ভাই-দীনেশ ও সুরেশ রবিদাস। দীনেশ জমি আন্দোলনে যুক্ত ছিল। ভাই সুরেশ এখন রাজনৈতিক ভাবে এলাকায় সক্রিয়। তারা স্থানীয় একটি গ্রামে থাকত। দীনেশের বাড়ীতে থেকেই সরিতারা প্রথম কাজ শুরু করে। আগেই বলেছি শব্দগাঁও-এর মানুষের সাথে সম্পর্ক করাটা সহজ ছিলনা। স্থাননীয় নকশাল আর গ্র্রামবাসীরা তাদের পুলিশের ইনফরমার ভাবত আর পুলিশ তাদেরকে নকশালদের এজেন্ট হিসেবে দেখত।
দীনেশ আজও মনে করতে পারে-“They wanted children to go to school. What surprised them was that even when provided free education, children were not attending school”
পরে তারা বুঝতে পারল-…education didn’t appeal to empty stomachs. Why were food and nutrition inadequate? Because agriculture was in a bad state. This, in turn, was due to the lack of irrigation facilities. Sarita and Maheshkant began to think about ways to tide over the problem.
এর পর তো সবটাই ইতিহাস। তবে এই ইতিহাস রচনায় আর একজনের নামও গভীর ভাবে জড়িয়ে আছে-মগধ ডিভিশনের কমিশনার শিরোহী, যার সাহায্য না পেলে শব্দ গ্রামের ইরিগেশন প্রোজেক্ট সফল হওয়া সহজসাধ্য ছিলনা। শিরোহীর পরিকল্পনা ছিল শব্দকে একটি মডেল ভিলেজ তৈরি করা। কিন্তু মহেশ-সরিতার মৃত্যুর পর সাংবাদিকরা আর তার দেখা পায়নি। এই প্রতিবেদকের জানা নেই ২০২০ সালের এই মাঝামাঝি সময়ে শব্দগাঁও এখন কেমন আছে।
In series of arrests of Sikh youths, allegedly for their involvement in the ‘Khalistan movement’ Special Cell of Delhi Police has booked 21-year-old Luvpreet Singh under UAPA for being a sympathizer of Khalistan along with two others. https://www.karvaanindia.com/
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি Whatsapp-এ চ্যাট
করতে করতে হঠাতই ভাইঝি টিঙ্কুর নিমন্ত্রণ এলো আমেরিকাতে ওদের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার জন্য।বেশি
কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে গেলাম, দেশ বেড়াবার সখ আমার ছোটবেলা থেকেই।১৬ মে
২০১৬, ব্যাগ গুছিয়ে একাই রওনা দিলাম।
আমেরিকায় পৌঁছে ওখানকার নানা
দর্শনীয় স্থান ঘোরার পর
সেই বহু অপেক্ষার নায়াগ্রা ফলস দেখতে গেলাম। টিঙ্কু,
সৌরভ আর ওদের দু’বছরের ছেলে
মিকাই-এর সাথে Baltimore
থেকে নায়াগ্রা যেতে সময় লাগলো প্রায় ৮ ঘন্টা। সৌরভ নিজেই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল।
নায়াগ্রা
জলপ্রপাত-এর সামনে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ
হয়ে নির্বাক চেয়ে রইলাম।স্বপ্নের
মত মনে হল।প্রকৃতি তার সমস্ত রূপ-রস-সৌন্দর্য আর বিশালতা
নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, চোখ সার্থক হলো, জীবন সার্থক হলো।তারপর আমরা ‘Maid of the Mist’ boat tour-এর জন্য প্রস্তুত
হলাম। এর জন্য নীল রং-এর rain poncho আর বিশেষ জুতোর
প্রয়োজন হয়।Maid of the Mist-এর নৌকা বিহার প্রায় নায়াগ্রার ঝর্ণার ভেতর
পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেই
ঝর্নার বৃষ্টিস্নান (Mist) এক অনির্বচনীয় রোমাঞ্চকর অনুভূতি।
নায়াগ্রার
আরো একটি অন্যতম আকর্ষণ হলো ‘Cave of
the Winds’, যেটি BridalVeils Fallsএর পেছনে
একটি Natural Cave-এর মত। একটি
narrow woodenpassage way দিয়ে
২০০টি কাঠের সিড়ি বেয়ে ওপরে
উঠতে পারলে একদম Bridal Veils-এর সামনে পৌছে যাওয়া যায়।খুব সন্তর্পনে ধীরে ধীরে অন্য পর্যটকদের সাথে
আমিও খাড়া খাড়া সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে গেলাম।ওপরের
মনোরম দৃশ্য প্রাণ জুড়িয়ে দিল। এ এক কল্পলোক।এও এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
Maid of
the Mist, Cave of the winds এবং Niagara State park ঘোরার পর আমরা lunch সেরে হোটেলেফিরে এলাম।
সন্ধ্যেবেলা
‘Niagara Falls Light Show’ দেখতে যাওয়ার
কথা। রাতের অন্ধকারে জলপ্রপাতেরওপর নানা রঙের আলোর খেলা শুনেছিলাম দেখার মত। কিন্ত বিকেল থেকেই মিকাই এর হঠাৎ জ্বর এসে গেল। তাই টিঙ্কুরা আর বেরোতে পারল না। এত দূর এসে Light Show না দেখে ফিরে যেতে আমার ইচ্ছে
করল না। তাই ঠিক করলাম আমি একাই Public Shuttle bus-এ
ঘুরে আসি।হোটেল থেকে নায়াগ্রা পর্যন্ত যেতে ১৫/২০ মিনিট
সময় লাগে।একটা Indian Restaurant (Punjabi)-এ Buffet
Dinner-এর পর সন্ধ্যে আটটার shuttle-এ সৌরভ আমাকে তুলে দিল। Bus-এ উঠে দেখি বিরাট বাসটিতে অন্য কোনো যাত্রী
নেই, একজন বয়স্ক মহিলা বাসটি চালাচ্ছিলেন। আমি
ওনার ঠিক পেছনের সিটে গিয়ে বসলাম। আমাকে
একা এভাবে দেখে উনি অবাক হয়ে জিগ্যেস করলেন ‘‘তোমার ভয় করছে না, এরকম বিদেশে এসে
একা একা সন্ধ্যেবেলা বেরিয়ে পরেছ।” আমি
হাসলাম, কিছু বললাম না। ‘‘বেশি
দেরী করো না যেন, ১০ টার Last shuttle-টাতে ফিরে এসো, তার পরে আর কিছু পাবে না”,
উনি অনেক বার বললেন। আমি
কিছু ক্ষণ পর ওনাকে বিদায় জানিয়ে গন্তব্যস্থানে পৌঁছে গেলাম।
রাতের
বেলা নায়াগ্রার বুকে আলোর খেলা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। এ কি অপরূপ শোভা! জলের গর্জন আর রঙের খেলা মিলেমিশে
যেন এক অপার্থিব মায়াজগত সৃষ্টি করেছে।
কিন্তু
খুব বেশি ক্ষণ সেখানে থাকি নি। ১০টার shuttle বাসটা ধরতেই
হবে। ধীরে ধীরে বাস স্ট্যান্ড-এ পৌঁছলাম। তখন
বাজে সাড়ে ন'টা। তত ক্ষণে
অন্য পর্যটকরা নিজেদের গাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে, তারপর দেখি ১০টা বাজলো, সাড়ে
১০টা, ১১ টা …………………..রাত বাড়তে লাগল, shuttle আর আসে না, সমগ্র
এলাকাটা তখন জনহীন, সবাই যে যার ঘরে ফিরে গেছে, কী করব কিছু বুঝতে পারছি না।রাত ১২টা বেজে গেল।এবার একটু একটু ভয় করতে লাগলো। তবু জানি সর্বশক্তিময় ঈশ্বর আছেন। এই কথা ভেবে মনে মনে ঠাকুরকে ডাকতে লাগলাম।হঠাৎ দেখি
সামনে একটা ট্যাক্সি এসে দাড়ালো। “আপকো
কাহী জানা হ্যায়, ম্যায় বহত দের সে আপকো দেখ রাহা হু”।হিন্দিতে প্রশ্ন করলেন মধ্য বয়স্ক গাড়ির চালক। আচমকা হিন্দি শুনে থমকে গেলাম। ট্যাক্সি চালক বললেন “আপকো পহচা দুঙ্গা, মেরে
গাড়ি মে আ যাইয়ে”। কিছু
ভাবার আগেই আমি গাড়িতে গিয়ে বসে পরলাম। উনি
বললেন এখানে যথেষ্ট যাত্রী সংখ্যা না হলে অনেক সময় shuttle cancel করে দেয়। ১০টার বাসটা আর
আসবে না। রাস্তায় যেতে যেতে উনি নিজের গল্প করতে লাগলেন। ওনার বাড়ি লাহোরে, দীর্ঘকাল ধরে আমেরিকাতেই বসবাস করার জন্য এখন
মার্কিন নাগরিক।
ট্যাক্সি চালানই পেশা, ছেলে US Army-তে কাজ করে। ওনার কথা বলার ভঙ্গি শুনে মনে হচ্ছিল আমি যেন ওনার কত কালের চেনা।আমাদের যে দেশ আলাদা, ভাষা আলাদা, ধর্ম আলাদা সে
কথা এক মুহূর্তের
জন্যও মনে এলো না।
কথা বলতে
বলতে কখন যে হোটেল এ পৌঁছে গেলাম
বুঝতেই পারলাম না।ভাড়া
দেবার সময় উনি বললেন “মুঝে কুছ কম দিজিয়ে, ইতনে দিনো কে বাদ মেরে দেশ কি কিসিসে আপনে
ভাষা মে বাত করনে কা মৌকা মিলা, ইসসে জাদা খুশি আউর কিয়া হো সকতা হ্যায়।আপকো দেখকে মুঝে লাগতা হ্যায় আপনি বহেন মিল গয়া”
শিকড়ের টান কত গভীর! ওনার চোখ ছলছল করে উঠলো, তারপর নিমেষের মধ্যে ট্যাক্সি নিয়ে দূরে চোখের নজরের বাইরে ……..…
নীরবে নির্জনে আমি দাড়িয়ে রইলাম একা।
How to reach Niagara Falls
নায়াগ্রার
nearest airport হল Buffalo।দূরত্ব প্রায় ২৭ কিলোমিটার। Buffalo থেকে Niagara Falls পর্যন্ত প্রচুর shuttle
bus চলে। যারা India থেকে যেতে চান তাদেরপ্রথমে by airনিউ
ইয়র্ক যেতে হবে। নিউ
ইয়র্ক থেকে এরোপ্লনে Buffalo যাওয়া যায়। কম খরচে
যেতে চাইলে নিউ ইয়র্ক থেকে Buffalo-র জন্য ট্রেন এবং বাসেরও ব্যবস্থা আছে।
থাকা
খাওয়ার ব্যবস্থাও খুব ভালো। নানা
রকম standard-এর হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট প্রচুর পরিমাণে আছে, এমনকি ইন্ডিয়ান
রেস্টুরেন্টও আছে ।